মেয়েরা মা হবার পর, মেয়ে হওয়াটাই ভুলে যায়। আসলে ভুলে যায় বললে অন্যায়
হবে তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়। সে ফ্যামিলি ম্যানুপুলেশনের স্বীকার হয়। কিভাবে
হয়, সেটাই আজকে ব্যাখ্যা করব।
আপনার চারপাশে তাকালে আপনি নির্দ্বিধায় বলে দিতে পারবেন কোন মেয়েটি সন্তানের মা আর কোন মেয়েটি এখনো মা হয়নি।
যে মেয়েটি মা হবার আগে প্রচণ্ড রুচিশীল, গোছানো আর স্টাইলিশ মেয়ে ছিল, সেই এক-ই মেয়ে মা হবার পরে কেন এলোমেলো চুল আর বেঢপ সালোয়ার-কামিজ পরা মেয়ে হয়ে যায় ? কেন হয়, ভেবেছেন ?
আপনার চারপাশে তাকালে আপনি নির্দ্বিধায় বলে দিতে পারবেন কোন মেয়েটি সন্তানের মা আর কোন মেয়েটি এখনো মা হয়নি।
যে মেয়েটি মা হবার আগে প্রচণ্ড রুচিশীল, গোছানো আর স্টাইলিশ মেয়ে ছিল, সেই এক-ই মেয়ে মা হবার পরে কেন এলোমেলো চুল আর বেঢপ সালোয়ার-কামিজ পরা মেয়ে হয়ে যায় ? কেন হয়, ভেবেছেন ?
মা
হবার পরে মেয়েদের শারীরিক যে ক্ষতি হয়, সে বিষয়ে যত্ন নেবার প্রচুর মানুষ
চারপাশে থাকলেও, মানসিক ভাবে যে মেয়েটা হারিয়ে যাচ্ছে সেই দিকে আসলে কেউ
খেয়াল করে না। প্রেগনেন্সির সময় হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে মেয়েটার ভেতরে যে
বিষণ্ণতা, মুডসুইমিং সহ নানা ধরনের মানসিক জটিলতা বাসা বেঁধেছে, সেটা দুর
করার জন্য পরিবারে মানুষেরা উদ্যোগী হয় না। হয়ত বোঝেও না।
তাই স্বামী কিংবা পরম আত্মীয়রা বলে না, মেয়ে তুমি গত এক বছর ধরে যে কষ্ট করেছ এবং এখন যে একজন অসাধারণ মা হয়ে দেখাচ্ছ , সে জন্য তোমাকে ভালোবাসা, আজকে একটু অবসর নাও , যাও বাইরে থেকে ঘুরে আসো , অনেকদিন তোমার আড্ডা দেয়া হয়নি, আজকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দাও, একটু সাজো, আমরা তো আছি তোমার বাচ্চার পাশে। তুমি এটা ডিজার্ভ কর।
নব্য মায়ের জন্য প্রচুর খাবার থাকলেও মা যদি একটু ঘুমিয়ে পরে আর বাচ্চাটা কাঁদে তবে কেউ না কেউ বলে ওঠে,
আরে বাচ্চা কাঁদছে কেন ?
কিংবা মা যদি একটু অন্য মনস্ক হয় তবেই বাড়ির বয়স্ক নারীরা জ্ঞান দেয়, মা হওয়া সহজ না, তিনি কিভাবে রাত ভর জেগে জেগে মা হয়েছিলেন ইত্যাদি ইত্যাদি ।
এমনিতেই নব্য মা তার এই নতুন অভ্যাসের সাথে মানিয়ে নিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তার উপড়ে কেউ তার মাতৃত্ব অবহেলা করার দায় চাপাচ্ছে কিনা, সে সবও খেয়াল রাখতে হচ্ছে।
এতকিছুর পরে মেয়েটা যে একটু নিজের দিকে খেয়াল করবে সেই সময় আর উৎসাহ কোনটাই পায় না ।
ধীরে ধীরে মেয়েটা মেনে নিতে থাকে, এখন সে মা তাই তার আর আগের মত মেয়ে হওয়া হবে না। সাঁজতে গেলে সে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। নিজের মুটিয়ে যাওয়া শরীর ঢাকতে ব্যস্ত হয়, আয়নায় নিজেকে আর দেখে না , সে নিজেকে দেখে বাচ্চার মা হিসেবে।
অথচ একটু উৎসাহ , একটু যত্ন আর একটু আশ্রয় পেলেই সেই আগের উচ্ছল টিপটপ মেয়েটা, সাজগোজ করা, হাসিখুশি , আড্ডাবাজ মেয়েটা, হারিয়ে জেতো না, কিংবা যাবে না ।
যে মেয়েটা সমস্ত পরিবারের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে, তার মুখের হাসি ম্লান না করে ফিরিয়ে দিন। সে জেনো মা হয়েও সেই আগের মেয়েরটি-ই থেকে যায়।
লেখা: ফড়িং ক্যামেলিয়া
ব্লগার ও কবি
তাই স্বামী কিংবা পরম আত্মীয়রা বলে না, মেয়ে তুমি গত এক বছর ধরে যে কষ্ট করেছ এবং এখন যে একজন অসাধারণ মা হয়ে দেখাচ্ছ , সে জন্য তোমাকে ভালোবাসা, আজকে একটু অবসর নাও , যাও বাইরে থেকে ঘুরে আসো , অনেকদিন তোমার আড্ডা দেয়া হয়নি, আজকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দাও, একটু সাজো, আমরা তো আছি তোমার বাচ্চার পাশে। তুমি এটা ডিজার্ভ কর।
নব্য মায়ের জন্য প্রচুর খাবার থাকলেও মা যদি একটু ঘুমিয়ে পরে আর বাচ্চাটা কাঁদে তবে কেউ না কেউ বলে ওঠে,
আরে বাচ্চা কাঁদছে কেন ?
কিংবা মা যদি একটু অন্য মনস্ক হয় তবেই বাড়ির বয়স্ক নারীরা জ্ঞান দেয়, মা হওয়া সহজ না, তিনি কিভাবে রাত ভর জেগে জেগে মা হয়েছিলেন ইত্যাদি ইত্যাদি ।
এমনিতেই নব্য মা তার এই নতুন অভ্যাসের সাথে মানিয়ে নিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তার উপড়ে কেউ তার মাতৃত্ব অবহেলা করার দায় চাপাচ্ছে কিনা, সে সবও খেয়াল রাখতে হচ্ছে।
এতকিছুর পরে মেয়েটা যে একটু নিজের দিকে খেয়াল করবে সেই সময় আর উৎসাহ কোনটাই পায় না ।
ধীরে ধীরে মেয়েটা মেনে নিতে থাকে, এখন সে মা তাই তার আর আগের মত মেয়ে হওয়া হবে না। সাঁজতে গেলে সে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। নিজের মুটিয়ে যাওয়া শরীর ঢাকতে ব্যস্ত হয়, আয়নায় নিজেকে আর দেখে না , সে নিজেকে দেখে বাচ্চার মা হিসেবে।
অথচ একটু উৎসাহ , একটু যত্ন আর একটু আশ্রয় পেলেই সেই আগের উচ্ছল টিপটপ মেয়েটা, সাজগোজ করা, হাসিখুশি , আড্ডাবাজ মেয়েটা, হারিয়ে জেতো না, কিংবা যাবে না ।
যে মেয়েটা সমস্ত পরিবারের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে, তার মুখের হাসি ম্লান না করে ফিরিয়ে দিন। সে জেনো মা হয়েও সেই আগের মেয়েরটি-ই থেকে যায়।
লেখা: ফড়িং ক্যামেলিয়া
ব্লগার ও কবি
No comments:
Post a Comment