কুঠিবাড়ী
ড. অশোক মিস্ত্রি
জোড়াসাঁকো, শান্তিনিকেতন, কুঠিবাড়ী
গঙ্গা, কোপাই, পদ্মা, হে ঠাকুর কবি
তোমার এ সবইতো দেখলামÑ
প্রতিবার যখনই তোমার কাছে গেছি,
তোমার সম্মুখে দাঁড়িয়েছি ততবারই
সুউচ্চ, সুবিশাল হিমালয়ের প্রতি বালুকণা
আর অনন্ত অথৈ অপার সমুদ্রের প্রতি বারিবিন্দু স্বরূপ
নিজেকে কেবলই মনে হয়েছে বারবার।
মূলতঃ বারি বিন্দু অথবা বালুকণার তাতে লজ্জ্বা নেই কোন
বরংচ বিস্ময় আর গর্বে নতজানু হয়েছি বারংবার হে মহা মহিম,
তোমার পদমূলে হে রবীন্দ্র ঠাকুরঃ
শুধু তুমি নাই, তোমার স্মৃতি ঘেরা, তোমার স্পর্শ লাগা
সেই জনপদ, বাগানবাড়ী, আসবাবপত্র, দর-দালানকোঠা
সবই আছে পড়ে শুধু তুমি ছাড়া;
যেন দীর্ঘ বিরহ ক্লিষ্টা প্রিয়তমাসম
প্রিয়তম একদিন আসবে বলে কথা আছে যাঁরÑ
সেই পদ্মা, পদ্মার পাড়ঃ
‘কুঠিবাড়ী বীণা হলে পদ্মা যার তার’
হায় পদ্মা! তুমি কার বিরহে শুকিয়ে এমন কাঠ?
হায় রবি ঠাকুর!
কোন বিধবাকেইতো কোনদিন দেখে না তার স্বামী
প্রকৃতির এটাইতো নিয়ম।
কোন চৈত্র দিনে অথবা কোন শ্রাবণ রাতে
তুমি অশরীরি রবীন্দ্র ঠাকুর কোনদিন আসনাকি?
তোমার কুঠিবাড়ীতে, তোমার পদ্মার তীরে
আমার বড্ড জানতে ইচ্ছা করে।
শুধুমাত্র কুঠিবাড়ী ছাড়া অন্য সব তোমার বিশেষ জনপদে
প্রকৃত তোমার বাড়ীর চিহ্ন নাইÑ
আছে শুধু কোলাহল, কোলাহল আর জনতার ভীঁড়
ঐগুলো আজ আর তোমার কোন একার বাড়ী নয়Ñজনতার বাড়ি।
কুঠিবাড়ী আজও যেন প্রায় আছে ঠিক সেই আগরেই মতো
সেই মাঠ-ঘাট, সেই প্রাচীন প্রকৃতি, যেন অবিকল সব
শুধুমাত্র বিধবা পদ্মার বৈরী প্রকৃতির তীরে
নিঃসঙ্গ কুঠিবাড়ী;
কেবলমাত্র জড়ধর্মে বাঁচার গ্লানি নিয়ে বাঁচে
আর যার একমাত্র প্রতিবেশী
এক নিঃসঙ্গীর সঙ্গী চির নিঃসঙ্গী বিদেহী লালন।
কবি : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়।
ড. অশোক মিস্ত্রি
জোড়াসাঁকো, শান্তিনিকেতন, কুঠিবাড়ী
গঙ্গা, কোপাই, পদ্মা, হে ঠাকুর কবি
তোমার এ সবইতো দেখলামÑ
প্রতিবার যখনই তোমার কাছে গেছি,
তোমার সম্মুখে দাঁড়িয়েছি ততবারই
সুউচ্চ, সুবিশাল হিমালয়ের প্রতি বালুকণা
আর অনন্ত অথৈ অপার সমুদ্রের প্রতি বারিবিন্দু স্বরূপ
নিজেকে কেবলই মনে হয়েছে বারবার।
মূলতঃ বারি বিন্দু অথবা বালুকণার তাতে লজ্জ্বা নেই কোন
বরংচ বিস্ময় আর গর্বে নতজানু হয়েছি বারংবার হে মহা মহিম,
তোমার পদমূলে হে রবীন্দ্র ঠাকুরঃ
শুধু তুমি নাই, তোমার স্মৃতি ঘেরা, তোমার স্পর্শ লাগা
সেই জনপদ, বাগানবাড়ী, আসবাবপত্র, দর-দালানকোঠা
সবই আছে পড়ে শুধু তুমি ছাড়া;
যেন দীর্ঘ বিরহ ক্লিষ্টা প্রিয়তমাসম
প্রিয়তম একদিন আসবে বলে কথা আছে যাঁরÑ
সেই পদ্মা, পদ্মার পাড়ঃ
‘কুঠিবাড়ী বীণা হলে পদ্মা যার তার’
হায় পদ্মা! তুমি কার বিরহে শুকিয়ে এমন কাঠ?
হায় রবি ঠাকুর!
কোন বিধবাকেইতো কোনদিন দেখে না তার স্বামী
প্রকৃতির এটাইতো নিয়ম।
কোন চৈত্র দিনে অথবা কোন শ্রাবণ রাতে
তুমি অশরীরি রবীন্দ্র ঠাকুর কোনদিন আসনাকি?
তোমার কুঠিবাড়ীতে, তোমার পদ্মার তীরে
আমার বড্ড জানতে ইচ্ছা করে।
শুধুমাত্র কুঠিবাড়ী ছাড়া অন্য সব তোমার বিশেষ জনপদে
প্রকৃত তোমার বাড়ীর চিহ্ন নাইÑ
আছে শুধু কোলাহল, কোলাহল আর জনতার ভীঁড়
ঐগুলো আজ আর তোমার কোন একার বাড়ী নয়Ñজনতার বাড়ি।
কুঠিবাড়ী আজও যেন প্রায় আছে ঠিক সেই আগরেই মতো
সেই মাঠ-ঘাট, সেই প্রাচীন প্রকৃতি, যেন অবিকল সব
শুধুমাত্র বিধবা পদ্মার বৈরী প্রকৃতির তীরে
নিঃসঙ্গ কুঠিবাড়ী;
কেবলমাত্র জড়ধর্মে বাঁচার গ্লানি নিয়ে বাঁচে
আর যার একমাত্র প্রতিবেশী
এক নিঃসঙ্গীর সঙ্গী চির নিঃসঙ্গী বিদেহী লালন।
কবি : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়।
No comments:
Post a Comment